ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কর্মপ্রত্যাশীদের জন্য আবারও সুখবর নিয়ে আসছে মালয়েশিয়া। আগামী জুন মাস থেকে দেশটি আবারও বিদেশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা অবৈধ শ্রমিকদের বৈধতা দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে খুব শিগগিরই।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রাজায়ায় এক উচ্চপর্যায়ের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিন, মানবসম্পদ মন্ত্রী, কৃষি ও প্লান্টেশন মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা। সভায় কর্মী সংকট নিরসনে প্রায় ১০ লাখ বিদেশি কর্মী নিয়োগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, “কোনো দেশ থেকে কত সংখ্যক কর্মী নেওয়া হবে, তা নির্ভর করবে নিয়োগকারী কোম্পানিগুলোর চাহিদার উপর।” এর অর্থ, বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য নতুন করে সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল।
এছাড়া বৈঠকে বিদেশি কর্মীদের কর্মস্থল পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন পদ্ধতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতদিন মালিকপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল পরিবর্তন কঠিন ছিল। তবে এখন এই বিষয়টিতে কর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করতে নীতিগত সংস্কার আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, অবৈধভাবে অবস্থানকারী শ্রমিকদের বৈধতার সুযোগ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে দ্রুত একটি প্রক্রিয়া চালু করা হবে, যা বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য স্বস্তির খবর।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিন বলেন, “ভবিষ্যতে কোনো বিদেশি কর্মী দেশে ফেরত পাঠানোর সময় নিয়োগকর্তাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যদি কোনো নিয়োগকর্তা দায়িত্বে অবহেলা করে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এমনকি, নতুন কর্মী নিয়োগের কোটা পাওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে।
এই ঘোষণায় মালয়েশিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছুক লাখো প্রবাসী ও কর্মী প্রত্যাশীদের মাঝে আশার আলো দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ বিদেশি কর্মসংস্থানের বাজারে বাংলাদেশকে আবারও অন্যতম সোর্স কান্ট্রি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়ক হবে।