ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
দুই পারমাণবিক প্রতিবেশীর মধ্যে চলমান উত্তেজনার অবসানে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে তিনি এই মধ্যস্থতায় কার্যকর ভূমিকা রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর প্রতিও গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
শনিবার রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতিতে এবং আলোচনায় যোগদানে সম্মত হওয়ায় আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।”
বিবৃতিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বৈশ্বিক শান্তি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একান্ত সময়োপযোগী এ সিদ্ধান্ত বিশ্বজনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পাশাপাশি কূটনীতিক বিজয়েরও প্রতীক।”
এদিকে যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কথাও তিনি স্বীকার করে নেন। “কার্যকর মধ্যস্থতা ও চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওর অবদান অসামান্য,” বলেন ইউনূস।
উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। উভয় পক্ষের সামরিক প্রস্তুতি এবং পাল্টাপাল্টি বিবৃতি বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। এরই মধ্যে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানায়।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস আরও বলেন, “বাংলাদেশ সবসময় মতপার্থক্য নিরসনে শান্তিপূর্ণ ও কূটনৈতিক পথের পক্ষে। এই সংকটে ভারত ও পাকিস্তানের পরিণত সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই যুদ্ধবিরতি শুধু উপমহাদেশের জন্যই নয়, বিশ্ব রাজনীতিতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক বার্তা বহন করছে। আর এতে বাংলাদেশের মতো শান্তিকামী দেশগুলোর অবস্থান আরও সুসংহত হলো।