Logo Logo
বাংলাদেশ

ভারত-পাক উত্তেজনায় নজরদারি, ফেনী সীমান্তে সতর্ক বিজিবি।


ভোরের বাণী

Splash Image

বিজিবি সদস্যরা ফেনী সীমান্তে টহল দিচ্ছেন ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে।

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ফেনী সীমান্তে বিজিবি টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়িয়েছে। জননিরাপত্তায় পুলিশ ও প্রশাসনের সমন্বয় চলমান।


বিজ্ঞাপন


মশিউদ্দৌলা রুবেল, ফেনী থেকে: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা ও সীমান্ত সংঘাতের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ফেনী জেলার ১২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা। এ নিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের মাঝে দেখা দিলেও বিজিবির টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।

সরেজমিন ঘুরে ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফেনী সীমান্তে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সীমান্তের ভারতীয় অংশে বিএসএফ আধুনিক প্রযুক্তির এলইডি লাইট, ক্যামেরা ও সেন্সর স্থাপন করছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান, “সীমান্তে সার্বক্ষণিক টহল জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে সীমান্ত পাহারায় আনা হয়েছে আনসার সদস্যদেরও।”

তিনি আরও বলেন, সীমান্ত দিয়ে যেকোনো ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে বিজিবি। পরিস্থিতি অনুযায়ী জনবলও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বর্তমানে ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম এবং ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর, শর্শদি ও কাজিরবাগ ইউনিয়ন মিলিয়ে প্রায় ১২৫.১৯ কিলোমিটার এলাকা সীমান্ত হিসেবে গণ্য হয়। এর মধ্যে ১০২.৯ কিলোমিটার দেখভাল করছে ফেনীর ৪ বিজিবি এবং বাকি ২৩.১০ কিলোমিটার দেখছে কুমিল্লার ১০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।

সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী।

আরও পড়ুন

ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা