ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ হঠাৎই ছুটিতে গেছেন, যা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে তীব্র গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। তাঁর এ ছুটিতে যাওয়া নিছক ‘বিরতি’ নাকি অন্যকিছু—তা নিয়ে রীতিমতো রহস্য দানা বেঁধেছে।
রোববার (১১ মে) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৭ ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন মারুফ। দুবাই হয়ে ইসলামাবাদে পৌঁছান তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে তাদের জানানো হয়েছে—মারুফ বর্তমানে ছুটিতে আছেন এবং তাঁর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন উপহাইকমিশনার মুহাম্মদ আসিফ। তবে ছুটির নির্দিষ্ট সময়সীমা জানানো হয়নি। পরে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়, এটি দুই সপ্তাহের ছুটি।
তবে কূটনৈতিক সূত্র বলছে, মূল রহস্য লুকিয়ে আছে ৯ মে কক্সবাজার সফরের পেছনে। ওই সফরের সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ‘জরুরি তলব’ করে। সফরকালে তিনি অবস্থান করছিলেন উখিয়ার হোটেল সি-পার্লে, সেখানে তাঁর সঙ্গী ছিলেন এক বাংলাদেশি সরকারি নারী কর্মকর্তা ও এক বন্ধু। জানা গেছে, ওই নারী বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক। এ নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে—যদিও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনায় সময়সাপেক্ষ যে প্রশ্নটি উঠে এসেছে, তা হলো: বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ের মধ্যেই কেন হঠাৎ ছুটিতে গেলেন একজন ‘অতি সক্রিয়’ কূটনীতিক?
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিলেন মারুফ। গত নয় মাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বৈঠক করেছেন, বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছেন। এমন একজন সক্রিয় হাইকমিশনারের আকস্মিক প্রস্থান অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
তার এই ছুটি শুধুই ব্যক্তিগত না কি কূটনৈতিক কোনো চাপের ফল—তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত: ঢাকার কূটনৈতিক মহলে সৈয়দ মারুফের অনুপস্থিতি নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে, যার জবাব এখনো অজানা।