Logo Logo

সাড়ে ৪ মাস ধরে নেই এসিল্যান্ড, দুর্ভোগে সেবাপ্রত্যাশীরা


Splash Image

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসিল্যান্ডের পদটি গত সাড়ে চার মাস ধরে শূন্য থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ জনগণ।


বিজ্ঞাপন


ভূমি অফিসের জরুরি সেবা যেমন নামজারি, মিসকেস, জমি হস্তান্তর, খাজনা প্রদান প্রভৃতি কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।

ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এসিল্যান্ডের পদটি শূন্য রয়েছে। ফলে এ দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)। তবে গত চার মাসে ইউএনও পদে দুইবার কর্মকর্তার বদল ঘটায় প্রশাসনিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত হয়েছে। এতে ৮টি ইউনিয়নের হাজারো সেবাপ্রত্যাশী ভূমি সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বর্তমান ইউএনও নুসরাত জাহান অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ভূমি অফিসের কাজ পরিচালনা করছেন। কিন্তু একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব একসাথে পালনের ফলে নিয়মিতভাবে ভূমি অফিসে সময় দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, “দুই মাস আগে নামজারির জন্য আবেদন করেছিলাম, এখনও কোনো অগ্রগতি হয়নি। অফিসে গিয়ে কেউ সঠিক তথ্যও দিতে পারছে না।”

একইভাবে, দলিল লেখক এবং সেবা প্রার্থীরাও ভূমি অফিসের সেবা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

উপজেলা ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, এসিল্যান্ড ছাড়া উপজেলার অধীনস্থ ৮টি সহকারী ভূমি অফিস কার্যত অচল হয়ে গেছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল (১২শ নামজারি ও ২৫০ মিসকেস) ঝুলে আছে দীর্ঘদিন ধরে।

মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, “এসিল্যান্ড না থাকায় নামজারি ও জমাখারিজের কাজ ধীরগতিতে চলছে। সেবাপ্রত্যাশীদের বোঝানোও কঠিন হয়ে পড়েছে।”

ভূমি সেবা পেতে ব্যর্থ হয়ে সেবা প্রার্থী মুস্তাক আহমেদ বলেন, “চার মাসে তিনবার মিসকেসের তারিখ নির্ধারণ হলেও কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে শুনানি হয়নি।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান জানান, “এসিল্যান্ড পদে দ্রুত পদায়নের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দু-তিন দিনের মধ্যে আইডি প্রস্তুত হলে মিউটেশন কার্যক্রম শুরু করা যাবে। আশা করছি, সমস্যা দ্রুতই সমাধান হবে।”

জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “নতুন ইউএনও দায়িত্ব নিয়েছেন। তাঁকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে নামজারি ও মিসকেস দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, ভূমি প্রশাসনের গুরুত্ব বিবেচনায় এসিল্যান্ডের পদটি দীর্ঘদিন শূন্য থাকা শুধু স্থানীয় নয়, প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকেও উদ্বেগজনক। স্থানীয়রা দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...