ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
গোপালগঞ্জে “মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৬ষ্ঠ পর্যায়” শীর্ষক প্রকল্পের জেলা কর্মশালা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার লক্ষ্য টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, নৈতিক শিক্ষার প্রসার ও সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা। বুধবার সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ পৌর মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের যৌথ আয়োজনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবির। প্রধান অতিথি ছিলেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, উপপরিচালক বিশ্বজিত কুমার পাল, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ এবং হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি জনাব মিল্টন বৈদ্য।
বর্তমানে প্রকল্পটির ৬ষ্ঠ পর্যায় চলমান রয়েছে, যা ২০২১ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। গোপালগঞ্জ জেলায় এই প্রকল্পের আওতায় ২৩৩টি শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে—এর মধ্যে রয়েছে ১৫৭টি প্রাক-প্রাথমিক, ৩৩টি শিশু ধর্মীয় শিক্ষা এবং ৪৩টি বয়স্ক ধর্মীয় শিক্ষা কেন্দ্র। প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ৩০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে থাকেন এবং এসব কেন্দ্রে নিয়োজিত ২৩৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ২০৭ জনই নারী—যা নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
প্রকল্পটির মাধ্যমে শুধু প্রাক-প্রাথমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা নয়, বরং নিরক্ষরতা দূরীকরণ, বিদ্যালয়মুখী শিশুদের শতভাগ ভর্তিতে উদ্বুদ্ধকরণ এবং ঝরে পড়া রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ধর্মীয় সম্প্রীতি, মানবিক মূল্যবোধ এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতেও প্রকল্পটি অবদান রেখে চলেছে।
“মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম” প্রকল্পটি হিন্দুধর্মীয় শিশুদের জন্য একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শিক্ষা ও নৈতিকতা উন্নয়নের পাশাপাশি এটি ধর্মীয় সহনশীলতাও জোরদার করছে।
প্রতিবেদক - এজেড আমিনুজ্জামান রিপন, গোপালগঞ্জ।