Logo Logo
বাংলাদেশ

দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে শেরপুর-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ


ভোরের বাণী

Splash Image


বিজ্ঞাপন


নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে শেরপুর-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪৪.৯০৬ কিলোমিটার নির্মাণ কাজ। দুর্ভোগ কমাতে কাজের গুনগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করে সড়ক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে শতকরা ৫০ ভাগ কাজ। পুরো এই আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর সহজীকরণ হবে শেরপুর-ময়মনসিংহ যাতায়াত ব্যবস্থা।

শেরপুর জেলা শহরের কানাশাখোলা বাজারের সংযোগ সড়ক থেকে শুরু হয়ে ভীমগঞ্জ বাজার-নারায়ণখোলা-রামভদ্রপুর-পরানগঞ্জ হয়ে ময়মনসিংহ মহানগরের রহমতপুরের সাথে মিলিত হচ্ছে নতুন এক মহাসড়ক। চলছে সড়ক তৈরির মহাকর্মযজ্ঞ। সরকারের এই উদ্যোগ সফল হলে এই সড়কে বদলে যাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

বর্তমানে শেরপুর থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগের প্রধান সড়ক হলো শেরপুর-নকলা-ফুলপুর-ময়মনসিংহ। এই সড়কে দুই জেলার দূরত্ব ৬৯ কিলোমিটার। আর নতুন বিকল্প সড়কে শেরপুর-ময়মনসিংহের দুরত্ব হবে ৪৯ কিলোমিটার। অর্থাৎ নতুন সড়ক তৈরি হয়ে গেলে শেরপুর-ময়মনসিংহ যেতে দূরত্ব কমবে ২০ কিলোমিটার।

শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সীমান্তবর্তী এই জেলার সাথে বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহের দ্রুত যোগাযোগ ও অর্থনীতি-বাণিজ্যসহ সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষেই এই মহাসড়কটি করা হচ্ছে। বৃহৎ বাজেটের দৃশ্যমান সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প এই অঞ্চলে এটাই প্রথম। এই প্রকল্পটি ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছে শেরপুর ও ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কাজ সম্পন্ন হতে সময় লাগবে দুই বছরের অধিক। দৈর্ঘ্য হবে ৪৪.৯০৬ কিলোমিটার, প্রস্থ ৩৩.৭৮ ফুট। নির্মিত হবে ছোট-বড় অন্তত ৮টি ব্রিজ ও শতাধিক ছোট-মাঝারি কালভার্ট।

সাগর ইনফো বিল্ডার্স লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ এমদাদুল হক বলেন, শেরপুর জেলা শহরের কানাশাখোলা বাজারের সংযোগ সড়ক থেকে শুরু হয়ে ভীমগঞ্জ বাজার-নারায়ণখোলা-রামভদ্রপুর-পরানগঞ্জ হয়ে ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রকল্পে শেরপুর সড়ক বিভাগের অধীনে কন্টাক্ট প্যাকেজ নাম্বার-১ এর আওতায় ১৩.৫ কিলোমিটার রাস্তা। এই প্যাকেজটির কার্যাদেশ ১২.০৬.২০২৩ সালে মোজার এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড, ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড, সাগর ইনফো বিল্ডার্স লিমিটেড জয়েন্ট ভেঞ্চারের অনুকূলে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। প্রকল্পটির কন্টাক ভ্যালু ছিলো ১৫০ কোটি টাকা। কার্যাদেশ পাবার পর থেকে যথাযথ নিয়মে, কোয়ালিটি বজায় রেখে, কাজটি বর্তমানে চলমান আছে। কাজটি বর্তমানে ৫০% সমাপ্ত হয়েছে। বাকি কাজ চলমান রয়েছে। এর আওতায় কন্টাক প্যাকেজ-১ এর অধীনে চন্দ্রকোনা এলাকায় সড়ক পাকা করণের কাজ শুরু হয়েছে, যেটা ডিবিএস বেজ কোড। ইতোমধ্যে প্রায় ১ কিলোমিটার পাকা রাস্তা দৃশ্যমান হয়েছে। কাজটি সার্বিকভাবে শেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে সাগর ইনফো বিল্ডার্স লিমিটেডের স্টাফ দ্বারা সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় আরো ১৪টি কালভার্ট ও ১টি ব্রিজ এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুতই প্রকল্পের কাজটি সম্পূর্ণ হবে।

এ বিষয়ে শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাকিরুল ইসলাম বলেন, জনসাধারণের দুর্ভোগ কমাতে এই মহাসড়কের কাজটি দ্রুততার সহিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে, কাজের শতকরা ৪৫ ভাগ শেষ হয়েছে। মহাসড়কের গুণগতমান বজায় রাখতে শেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ সরেজমিনে প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চর অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠির ভাগ্য পরিবর্তন হবে। শিক্ষা নগরী ময়মনসিংহ কাছে চলে আসায় মানুষজন কম খরচে উচ্চ শিক্ষা নিতে পারবে।

প্রতিবেদক - আইনুল নাঈম, নকলা, শেরপুর।

আরও পড়ুন

ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা