Logo Logo

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে মহাসড়কে স্থানীয় জনগণের অবরোধ ও বিক্ষোভ


Splash Image

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে আজ রবিবার (৩ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয় জনগণ, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনসমূহ।


বিজ্ঞাপন


সকাল ১০টায় শাহজাদপুরের বিসিক বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেয় শাহজাদপুর সচেতন নাগরিক সমাজ। একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মসূচিতে যোগ দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) শাহজাদপুর শাখা, শাহজাদপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও শাহজাদপুরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন সমবেতভাবে এই দাবিতে অংশ নেয়।

বক্তারা বলেন, “রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি হতাশাজনক। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নয় বছর ধরে নিজস্ব ভবন ও পরিকাঠামোবিহীন অবস্থায় শিক্ষাদান চালিয়ে যাচ্ছে—এটা দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার জন্য লজ্জাজনক।”

এ সময় বক্তৃতার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানানো হয় এবং সরকারের কাছে দ্রুত ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) অনুমোদনের দাবি জানান বক্তারা। আন্দোলনে উপস্থিত থেকে স্থানীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ইয়াতসিংহ শুভ বলেন, “ডিপিপি অনুমোদনে সরকারের দেরি এবং অবহেলায় আমরা গভীরভাবে হতাশ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের আন্দোলন চলবে।”

তিনি আরও জানান, গত ২৪ জুলাই পৃথক দুইটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আন্দোলনের সূচনা হয়। ২৬ জুলাই প্রতিষ্ঠা দিবস বর্জনের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই আন্দোলন আজ একাদশ দিনে গড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতীকী ক্লাস, মানববন্ধন, প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।

ইয়াতসিংহ শুভ প্রশ্ন রাখেন, “আমরা কি ধরে নেব, ঢাকার বাইরের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের অগ্রাধিকারে নেই?” তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থী রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজপথে আছে, অথচ এখনো সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের অনেকেই শিক্ষক সমাজের অংশ। আমরা আশা করছি, তারা আমাদের এই শিক্ষাব্যবস্থার সংকট উপলব্ধি করবেন এবং ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতি সদয় হবেন।”

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, ডিপিপি অনুমোদন ও বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ৪ আগস্ট ২০২৫, সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের একাডেমিক ভবন ২ থেকে ৩ এর মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি ও পথনাটক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৬ আগস্ট, বুধবার একই স্থানে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে অবস্থান কর্মসূচি ও "শিকলভাঙার গান" পরিবেশনা। ৭ আগস্ট, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত পালন করা হবে অবস্থান কর্মসূচি ও অর্ধবেলা প্রশাসনিক কর্মবিরতি। পরিশেষে, ১০ আগস্ট ২০২৫, রবিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দিনব্যাপী কর্মসূচির আওতায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে (একাডেমিক ভবন ২ থেকে ৩) পালন করা হবে পূর্ণবেলা প্রশাসনিক কর্মবিরতি, আলোচনা, সেমিনার ও অবস্থান কর্মসূচি।

প্রতিবেদক - মোঃ হাফিজ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...