ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
এক বছর আগে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ঘোষিত ‘মুজিববাদী ব্যবস্থা’ বিলোপের এক দফা দাবির প্রেক্ষিতে যে রাজনৈতিক আলোড়ন তৈরি হয়েছিল, ঠিক এক বছর পর একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেই দাবির আংশিক বাস্তবায়নে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শনিবার (৩ আগস্ট) ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর এক বছর পূর্তি উপলক্ষে শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি বলেন, “পুরোনো বন্দোবস্তের পতন ঘটাতে পারিনি, নতুন সংবিধান তৈরি করতে পারিনি, ক্ষমতার দুর্নীতিপরায়ণ স্তম্ভ ও সামরিক-প্রশাসনিক কাঠামো ভাঙতে পারিনি। আজ আমরা নিজেদের অক্ষমতা স্বীকার করতেই এখানে এসেছি।”
গত বছরের ৩ আগস্টের মধ্যরাতে, যখন শহীদ মিনার থেকে ‘মুজিববাদী শাসনব্যবস্থা’র অবসান ও একটি অন্তর্বর্তী সংবিধানের দাবিতে এক দফা ঘোষণা করা হয়, তখন অনেকেই এটিকে এক নতুন রাজনৈতিক যুগের সূচনা বলে মনে করেছিলেন। তবে আজকের সমাবেশে নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে স্বীকার করা হয় যে, সেই প্রত্যাশার অনেকটাই অধরা থেকে গেছে।
“যে এক দফা ঘোষণা আমরা করেছিলাম তা কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে ছিল না, কোনো দলের পক্ষ থেকেও না। এটা ছিল বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ঘোষণা। অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা ও শহীদ ভাই-বোনদের পক্ষ থেকে সেটি এসেছিল,”— বলেন নাহিদ ইসলাম।
সমাবেশস্থলে হাজারো জনতা উপস্থিত থাকলেও এবার দৃশ্যমান ছিল একধরনের আত্মসমালোচনার আবহ। বক্তৃতার একাধিক পর্যায়ে এনসিপির নেতৃত্বের ভেতরকার টানাপোড়েন, আন্দোলনের সংগঠনিক দুর্বলতা এবং গণজাগরণকে রাজনৈতিক কাঠামোয় রূপান্তর করতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে সরব ছিলেন নেতারা।
তবে এনসিপির নেতারা জানিয়ে দেন, এ ব্যর্থতা তাঁদের পথচলায় ছেদ টানবে না। আগামী মাসে জাতীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সভা ডাকার পরিকল্পনার কথা জানানোর পাশাপাশি আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায়ের রূপরেখা নিয়েও ইঙ্গিত দেন তারা।
সমাবেশ শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...