বিজ্ঞাপন
দেশটির আঞ্চলিক প্রধান কৌঁসুলি অ্যাকিলিস কুবিলোস রোববার (৩ আগস্ট) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটি নিয়ে ইতোমধ্যে একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম ভূগর্ভস্থ তামার খনি হিসেবে পরিচিত এল টেনিয়েন্ট খনি পরিচালনা করছে চিলির রাষ্ট্রীয় খনিখনন সংস্থা কোডেলকো। গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেল নাগাদ রাঙ্কাগুয়া অঞ্চলের নিকটে, রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত খনিটিতে ৪.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের ফলে খনির বেশ কিছু টানেল ধসে পড়ে এবং শ্রমিকরা সেখানে আটকে পড়েন।
দুর্ঘটনার পরপরই এক শ্রমিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে টানা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে শনিবার ও রোববার সকালে আরও চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে, মোট ছয়জন শ্রমিক এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত পাওলো মারিন এবং গনসালো নুনিয়েস কারোকা নামের দুইজনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। বাকি নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানায়নি কোডেলকো।
সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, "আমরা এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং স্থানীয় জনগণের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছি।"
উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণকারী কর্মীরা জানিয়েছেন, ধসে যাওয়া টানেল খোলার জন্য ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তারা অন্তত ২৪ মিটার দীর্ঘ অবরুদ্ধ অংশ পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন।
তবে এই দুর্ঘটনা খনির কার্যক্রমজনিত নাকি ভূমিকম্প-প্রবণতার কারণে— তা এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৌঁসুলি কুবিলোস। এ ঘটনার পর অঞ্চলটির ভূ-কম্পন সহনশীলতা এবং খনির নিরাপত্তা মানদণ্ড নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ উৎপাদনকারী দেশ চিলিতে এ ধরনের দুর্ঘটনা খনি নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা সামনে এনে দিয়েছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...