ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য। প্রথম ব্যাচে ৭ হাজার ৯২৬ জন শ্রমিকের তালিকা চূড়ান্ত করেছে সরকার—এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পুনরায় উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সম্ভাবনাময় এক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই ব্যাচভিত্তিক কর্মী প্রেরণ কার্যক্রমের প্রথম ধাপে যারা মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পাননি, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন—শেষ সময়ে বাদ পড়া শ্রমিকদের সুযোগ করে দেওয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই এই তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
আসিফ নজরুল বলেন, “আগামী কয়েক মাসে মালয়েশিয়া প্রায় ১ থেকে দেড় লাখ বিদেশি শ্রমিক নেবে। হিউম্যান রিসোর্স মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—এই নিয়োগে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।”
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রস্তাব দিয়েছে যাতে দেশের সব রিক্রুটিং এজেন্সি শ্রমিক পাঠাতে পারে। মালয়েশিয়া বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। পাশাপাশি মাল্টিপল ভিসা সুবিধা চালুর দিকেও অগ্রগতি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ছিল ‘ইরেগুলার’ (অবৈধ) শ্রমিকদের ‘রেগুলার’ (বৈধ) করার ব্যবস্থা গ্রহণ। আসিফ নজরুল বলেন, “আমরা বলেছি, অনেক সময় মালিকপক্ষের গাফিলতিতে শ্রমিকদের ভিসা মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। মালয়েশিয়ার সরকার জানিয়েছে—এমন বিষয়গুলো তারা সমাধানের জন্য কাজ করবে।”
এই প্রক্রিয়ায় সরকারের উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্ব যেমন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকনির্দেশনা রয়েছে, তেমনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও নিরলসভাবে কাজ করছেন বলে জানান উপদেষ্টা।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার পুনরায় উন্মুক্ত হওয়া কর্মসংস্থানের বাজারে বড় এক স্বস্তির খবর। এতে করে প্রবাসী আয় যেমন বাড়বে, তেমনি দেশের অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।