ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
এ সময় নির্মানাধীন ঘোনাপাড়া–টেকেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজের যাবতীয় কাগজপত্র তলব করা হয়।
মাঠপর্যায়ে তদন্তে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নির্মান কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা অতিক্রম হয়েছে, অথচ কাজ সম্পন্ন হয়নি। তদুপরি বরাদ্দকৃত বাজেটের তুলনায় অতিরিক্ত খরচ করা হয়েছে এবং নানা পর্যায়ে গুণগত মান লঙ্ঘিত হয়েছে। এসব আসল নথিপত্র পর্যালোচনা করে দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠাবে বলে সোহরাব হোসেল জানান।
গোপালগঞ্জ–টেকেরহাট আঞ্চলিক সড়কটি কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ছাত্র ও পর্যটকদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুট। বিলম্বিত ও নিকৃষ্ট নির্মাণের কারণে কাদামাটার স্থানগুলোতে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, দুর্ঘটনা প্রবণতা বাড়ছে এবং সাধারণ মানুষের চলাচলে অসুবিধা হওয়ার ফলে জনদুর্ভোগ বেড়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীগণের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুদকের তদন্ত চলাকালীন সকল বিল-পরিশোধ ও পরিদর্শন প্রতিবেদন তারা তাড়াতাড়ি জমা দেবে এবং প্রকল্প সংশোধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলী যদি অনিয়মে জড়িত পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিভাগ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা দ্রুত দুর্নীতিমুক্ত সংস্কার ও স্বচ্ছ বাজেট বাস্তবায়ন করে সড়কের মানোন্নয়ন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন, সড়কটির সময়োপযোগী ও মানসম্মত নির্মাণে গোপালগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে এবং আঞ্চলিক অর্থনীতি অত্যধিক গতিতে এগিয়ে যাবে।