ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
দুলাল একা তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা নিয়ে চালাচ্ছিলেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পরীক্ষাকক্ষে ছিলেন তৃতীয় শ্রেণির ১ জন, চতুর্থ শ্রেণির ৫ জন ও পঞ্চম শ্রেণির ৪ জন শিক্ষার্থী। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কলেজ শিক্ষার জন্য রেজাউল করিম প্রশিক্ষণে, শারমিন আক্তার ডেপুটেশনে এবং আবুল বাশার তালুকদার ও দিতী বেপারী ছুটিতে রয়েছেন। তবে তাদের ছুটির তথ্য হাজিরা খাতায় নেই। অপর একটি শিক্ষক খলিলুর রহমান তখন অনুপস্থিত ছিলেন; সাংবাদিকরা আসার পর দুপুরে দেরিতে তিনি বিদ্যালয়ে পৌঁছান।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, “বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছে, কিন্তু নিয়মিত পড়ুয়ার সংখ্যা মাত্র ৫–৮ জন। হাজিরা খাতায় শতভাগ উপস্থিতি দেখিয়ে উপবৃত্তি তোলা হয়।” তারা আরও বলেন, “অডিটের সময় পার্শ্ববর্তী নূরানী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এনে স্কুলের ছাত্রী-ছাত্রী হিসেবে দেখানো হয়।”
দুলাল প্রধান শিক্ষক বলেন, “মোট ৫২ জন শিক্ষার্থী আছে, আজ পরীক্ষা দেয়ার জন্য ২২ জন এসেছেন। শিক্ষক সংকটের কারণেই তিনজন 먼র শিক্ষণ ছুটিতে ও একজন প্রশিক্ষণে আছেন, আরেকজনের স্ত্রী অসুস্থ হওয়ায় দেরিতে আসেন। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করা ভুল; পরে ঠিক করে নিব।”
রাজাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকতার হোসেন ঘটনা সম্পর্কে জানান, “বিদ্যালয়ে ৩০ জন শিক্ষার্থী আছে—৬ জন শিক্ষকের স্থায়ী দায়িত্বে মাত্র একজন থাকাটা অনৈতিক। প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা অফিসকে অবহিত করা হয়েছে।”
এমনই অবহেলা ও তদারকির অভাবে প্রাথমিক শিক্ষার মান প্রশ্নের মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা সরকারি নির্দেশনাময়েই বিদ্যালয়ে নিয়মিত শিক্ষক ও সতর্ক পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি করছেন।