ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
ক্যামেরা লেন্সবহুল কালো রঙের ড্রোনটি এখন হাকিমপুর থানা হেফাজতে রয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় আদিবাসী পল্লীর বাসিন্দা প্রফুল্ল টপ্প বলেন, “গতকাল দুপুরে আমি ও অন্য শ্রমিকেরা সীমান্ত সংলগ্ন বোরো ধানক্ষেতে ধান কাটা শুরু করি। হঠাৎ ক্ষেতের মাঝখানে মাকড়সার মতো কালো এক বস্তু দেখতে পাই। কাছ গিয়ে দেখলাম, এটা ড্রোন ক্যামেরা। পরে সেই ক্যামেরাটি বাড়িতে নিয়ে আসি।”
খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন জানান, “২৮৭/২১ নং সাব-সীমান্ত পিলার এলাকার মিরাজুল ইসলামের জমিতে শ্রমিকরা ধান কাটছিলেন। প্রফুল্ল ড্রোনটি পেলেই তার সঙ্গে থাকা অন্যরা তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেন। বিষয়টি লোকমুখে শোনা মাত্রই মংলা বিজিবি ক্যাম্প ও থানায় খবর দেওয়া হয়। রাতে পুলিশ এসে ড্রোনটি উদ্ধার করে।”
কিছু স্থানীয় কৃষক–শ্রমিক (নামের অভাবে প্রকাশিত নয়) বলেন, “ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে বিএসএফ সীমান্ত নজরদারির জন্য ভারতীয় ড্রোন ব্যবহার করছে বলে শোনা গেছে। হতে পারে সেই ড্রোনগুলো মাঝপথে ভুল করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে চলে এসেছে।”
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “লোকজন জানাতেই আমরা রাতেই ঘটনাস্থল থেকে ড্রোন ক্যামেরাটি এনে হেফাজতে নিয়েছি। বর্তমানে সেটির বিস্তারিত পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলছে।”
দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা, এটি ভারত থেকে দুর্গম এলাকায় টহল দিতে ব্যবহৃত এক প্রকার পর্যবেক্ষণ ড্রোন। পাঁচটি ক্যামেরা লেন্সের এসব তথ্য যাচাই করছি, তদন্তের পর সঠিক কারণ ও ব্যবহার নির্ধারণ করা হবে।
প্রতিবেদক- মো: সেলিমুল ইসলাম, দিনাজপুর