ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
অভিযোগ রয়েছে, তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে অশালীন ভাষায় কথা বলেন এবং একপর্যায়ে ক্যামেরা ভাঙার চেষ্টা করেন।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে। বিদ্যালয়ে চলমান অনিয়ম, দায়িত্বে অবহেলা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ অনুসন্ধানে সাংবাদিকরা সরেজমিনে গেলে সহকারী শিক্ষিকা রেহেনা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি শিক্ষক অনুপস্থিতির সুযোগে নিজের ইচ্ছেমতো বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করেন এবং নিয়মিত ক্লাস নেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাংবাদিকরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতেই রেহেনা বেগম উত্তেজিত হয়ে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন। একাধিকবার জানতে চান, ‘অনুমতি ছাড়া কেন তারা বিদ্যালয়ে এসেছেন।’ সাংবাদিকরা পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করলেও শিক্ষিকার আচরণ আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে।
ঘটনার সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মামুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন না। পরে তিনি ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষিকাকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। তিনি বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমি দ্রুত বিদ্যালয়ে যাই। তাকে থামাতে চাইলেও তিনি কাউকেই শুনছিলেন না। সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন দুর্ব্যবহার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।”
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, রেহেনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন না, সময়মতো ক্লাস নেন না এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষিকার আচার-আচরণের কারণে অনেক শিশু বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পায়। সহকর্মী শিক্ষকদের সঙ্গেও প্রায়ই তার বাকবিতণ্ডা হয়। এর আগেও গত বুধবার এনটিভি অনলাইনের রাজাপুর ও কাঁঠালিয়ার একজন প্রতিনিধি বিদ্যালয়ের অনিয়ম নিয়ে লাইভ সম্প্রচার করলে রেহেনা বেগম তাকে হুমকি দেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষিকা মোসা. রেহেনা বেগম বলেন, “সাংবাদিকদের এরকম বিদ্যালয়ে এসে সংবাদ করা উচিত নয়। অনিয়ম তো শুধু স্কুলে নয়, সব জায়গাতেই হয়।”
রাজাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আকতার হোসেন বলেন, “এ ধরনের আচরণ একজন শিক্ষকের পক্ষে মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ থাকার পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিদ্যালয়ের পরিবেশ ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। তারা দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রতিবেদক-মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি।।