বিজ্ঞাপন
আল জাজিরার বরাত দিয়ে হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, হামলাটি ইসরায়েলের হাইফা বন্দর, নেগেভ, উম্ম আল-রশরাশ (আইলাত) এবং বিরসেবায় চালানো হয়েছে। এ অভিযানে ছয়টি ড্রোন ব্যবহার করা হয় এবং প্রতিটি নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানে।
ইয়াহিয়া সারি আরও বলেন, “গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হলে এবং অবরোধ না তুলে নেওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে।”
তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এখনো এ হামলার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ ও ধারাবাহিক হামলাই হুথিদের সাম্প্রতিক তৎপরতার পেছনে মূল প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৮৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩১ জন ছিলেন ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা সাধারণ মানুষ। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ৫১৩ জন।
খাবারের অভাবও গাজার প্রাণহানির সংখ্যা বাড়াচ্ছে। মন্ত্রণালয় জানায়, অনাহারে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এ নিয়ে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৭ জনে, এর মধ্যে ১০৩ জন শিশু।
গত কয়েক মাস ধরে হুথিরা প্রায় নিয়মিতভাবেই ইসরায়েলের দিকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে। তবে হাইফা বন্দরের মতো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলার দাবি এবারই অন্যতম বড় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...