ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৬ মে) দিবাগত মধ্যরাতে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। বিজিবির কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আগরতলা সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের একত্রিত করেছে এবং বিজয়নগর সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঢোকানোর চেষ্টা করবে।
বিজিবি সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তে অতিরিক্ত টহল জোরদার করে এবং স্থানীয়দের সতর্ক করে। এ সময় মাইকিং করে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হয়। তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিজিবির সঙ্গে সীমান্তে অবস্থান নেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন চৌধুরী জানান, "রাতে বিজিবি আমাদের সহযোগিতা চায়। এরপর আমরা গ্রামবাসীদের সতর্ক করি ও বিজিবির সঙ্গে সীমান্ত পাহারায় অংশ নিই। এখন সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ভবিষ্যতেও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত।"
বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ সিঙ্গারবিল সীমান্ত ফাঁড়ি থেকে জানানো হয়, "বিএসএফের অবৈধ পুশইনের আশঙ্কা থাকায় সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করে সর্বাত্মক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।"
বিজিবি ও স্থানীয়দের তৎপরতায় বিএসএফের পরিকল্পিত পুশইন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে তবে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিবেদক-মো. খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।