ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী সাবেক প্যানেল মেয়রের একমাত্র মেয়ে ছন্দা রানী দাস।
তিনি বলেন, আমার মা কবিতা রানী দাস পাইকগাছা পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ‘জোনাকি গ্রাম উন্নয়ন সমিতি’র মাঠকর্মী হিসেবে মাসিক চুক্তিতে কর্মরত ছিলেন। ওই সমিতির মাধ্যমে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা-মোকদ্দমা ও আন্দোলন হয়। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয়, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
এরই মধ্যে মোস্তফা মোড়ল ও জাতীয় শ্রমিক লীগের পৌর আহ্বায়ক জাকির হোসেন আমাদের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন এবং বলেন, টাকা দিলে সব সমস্যা মিটিয়ে দেবেন। আমরা রাজি না হওয়ায় শুক্রবার বিকেলে প্রায় ৩-৪ শ’ লোক নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। তারা ঘরে ঢুকে আমার মাকে বেধড়ক মারধর করে, টেনে-হিঁচড়ে বাইরে এনে সড়কে ফেলে নির্যাতন চালায়।
হামলাকারীরা আলমারি ও শোকেস ভেঙে ২ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, চার ভরি সোনার গহনা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। এমনকি মায়ের পরনের শাড়ি ছিঁড়ে ফেলে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় সড়কে টেনে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁকে পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাতে হাসপাতালেও জাকির হোসেন ও মোস্তফা মোড়ল আরও কিছু লোক নিয়ে অশোভন আচরণ করে। পরে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সংবাদ সম্মেলনে ছন্দা রানী দাস প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে মোস্তফা মোড়ল ও জাকির হোসেন বলেন, “আমরা চাঁদা চাইনি। গ্রাহকদের টাকা না দেওয়ার কারণেই তারা উত্তেজিত হয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা শুধু পরিস্থিতি ঠেকানোর চেষ্টা করেছি, না হলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।”