ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
করিডোরের নামে খাল কেটে কুমির আনা হচ্ছে। মিয়ানমারকে সহযোগিতা দিতেই এই করিডোর চালু করা হচ্ছে। আমরা করিডোর দেওয়া এবং বন্দর বিদেশিদের কাছে হস্তান্তর থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।”
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে নরসিংদী পৌর ঈদগাহ ময়দানে গণ-অধিকার পরিষদ জেলা শাখার আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
নূরুল হক নূর আরও বলেন, “কিছু গোষ্ঠী ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-কে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ারে পরিণত করতে চাইছে। আমরা ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বইয়ে পড়েছি, কিন্তু আজকের এই জুলাই অভ্যুত্থান আমরা নিজের চোখে দেখেছি। কোনো নেতার নির্দেশ বা ঘোষণার অপেক্ষা না করে ছাত্র, শ্রমিক, জনতা একসাথে রাজপথে নেমে এসেছিল। তারা কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ খোঁজেনি। অথচ আজ সেই আন্দোলনের নাম করে কেউ কেউ রাজনৈতিক ব্যবসা করছে, যেমনটা আওয়ামী লীগ করেছিল মুক্তিযুদ্ধকে একচেটিয়া করে।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই কারও একার সম্পত্তি নয়। এটা কোনো ব্যক্তি, দল বা প্রতিষ্ঠানের একক কৃতিত্বও নয়। এটি দেশের সকল শ্রেণিপেশার মানুষের মিলিত সংগ্রামের ফল। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্নই জুলাইয়ের মূল আকাঙ্ক্ষা। তাই যারা এই জুলাইয়ের নামে ব্যবসা করতে চায়, তাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে প্রতিহত করতে হবে।”
তিনি আরও জানান, এই দেশে সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে এবং গণ-অধিকার পরিষদ সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে। সমাবেশে আওয়ামী লীগের ‘স্বৈরাচারী’ ভূমিকারও কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
প্রতিবেদক-মো. এমরুল ইসলাম,নরসিংদী।