ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
অভিযুক্ত শিক্ষিকা মোসা. হেনা আক্তার শুধু সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণই করেননি, বরং একপর্যায়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভাঙার চেষ্টাও করেন। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক জনমতের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার প্রেক্ষিতে শনিবার (১৭ মে) রাজাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আকতার হোসেন অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা হেনা আক্তার এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মামুনুর রশীদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী হিসেবে হেনা আক্তার আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। কেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে না—এ বিষয়ে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী বিদ্যালয়ে চলমান অনিয়ম ও অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গেলে শিক্ষিকা হেনা আক্তার সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং বিদ্যালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। এক পর্যায়ে তিনি এক সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাঙারও চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আকতার হোসেন বলেন, “ঘটনাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিদ্যালয়ের পরিবেশ যেন পেশাদারিত্ব বজায় থাকে, সে বিষয়ে আমরা সচেষ্ট।”
এদিকে স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং দ্রুত দায়ীদের শাস্তির দাবি করেছেন। তাঁদের মতে, শিক্ষাঙ্গনে এ ধরনের অপেশাদার আচরণ শুধু গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপই নয়, বরং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাও ক্ষুণ্ণ করে।
প্রতিবেদক-মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি।