ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, টিয়ারা গ্রামের মো. ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে মো. রিমন হোসেন বাজারে দুধ বিক্রি করতে যাওয়ার পথে একই গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে মো. সাগর মিয়ার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতি এবং পরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়।
দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে টেঁটা ও লাঠির আঘাতে আহত হন মোট ১১ জন। গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন—মুন্সিবাড়ির মৃত শাহ আলমের ছেলে মো. মহসিন, মৃত আবুল খায়েরের ছেলে শিমুল মিয়া, আব্দুল হান্নানের ছেলে আলম মিয়া, মফিজুল ইসলামের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান। আহত অন্যরা হলেন—মোহাম্মদ নুর মিয়ার ছেলে ইনু মিয়া, তোতা মিয়ার ছেলে আমিনুল ইসলাম, খলিল মিয়ার ছেলে রানা মিয়া, মিলন মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া, মুন্নাফ মিয়ার ছেলে ফরিদুল ইসলাম এবং রোমন মিয়ার ছেলে হোসেন মিয়া।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল এবং আশঙ্কাজনকদের ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন,
“পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুনরায় যেন কোনো সহিংসতা না ঘটে, সেজন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা দায়ের হয়নি।”
স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদক- মোহাম্মদ আবু সুফী, নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।