ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে এবং শনিবার (১৭ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত আবুল কালাম উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাচিকাটা এলাকার আব্দুল আউয়ালের ছেলে। তিনি পেশায় স্থানীয় একটি বেসরকারি মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন এবং তিন কন্যা সন্তানের জনক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নিহত আবুল কালামের বাবা আব্দুল আউয়াল ও প্রতিবেশী শহীদ উল্লাহর মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে শুক্রবার দুপুরে গাছ থেকে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শহীদ উল্লাহ তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ আউয়ালের পরিবারের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় আব্দুল আউয়াল (৬৫), তার বড় ছেলে আবু বাক্কার (৪০), মেজো ছেলে আবুল কালাম (৩২), পুত্রবধূ হাবিবা (২৮) সহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে হাফেজ আবুল কালাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় মারা যান।
মনোহরদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার দিনই পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে এবং মূল অভিযুক্ত শহীদ উল্লাহকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিবেদক- মো.এমরুল ইসলাম,নরসিংদী।।