বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সময়ের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদনে এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল উত্তর কোরিয়ায় একটি আড়িপাতা যন্ত্র স্থাপন করা। কিন্তু অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে তা রক্তাক্ত পরিণতি ডেকে আনে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক অচলাবস্থার প্রেক্ষাপটে নেভি সিলস টিম-৬ উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করে। তাদের দায়িত্ব ছিল গোপনে একটি শ্রবণযন্ত্র বসানো। উল্লেখ্য, একই টিম ২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেন হত্যার অভিযানে অংশ নিয়েছিল।
তবে রাতে চলা অভিযানে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়। কয়েকজন উত্তর কোরীয় সাধারণ মানুষ সমুদ্রতটে ঝিনুক ও শামুক সংগ্রহ করতে গিয়ে সিল সদস্যদের সামনে চলে আসেন। আতঙ্কিত হয়ে কমান্ডোরা গোলাগুলি চালালে ঘটনাস্থলেই একটি ছোট মাছধরা নৌকার সব যাত্রী নিহত হন। নিহতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মৃতদেহ ভেসে ওঠা এড়াতে সিল সদস্যরা নিহতদের ফুসফুস ছুরিকাঘাতে ফুটো করে পানিতে ফেলে দেন। উদ্দেশ্য ছিল, যাতে উত্তর কোরীয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি টের না পায়।
তৎকালীন সময়ে কিম জং উন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক বৈঠক করলেও দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানের মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল। তবে এখন এই তথ্য ফাঁস হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, এত সংবেদনশীল সময়ে কেন এমন সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
যে বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, “আমি কিছুই জানি না। এখন প্রথম শুনছি।” তবে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, হোয়াইট হাউস ও সামরিক সূত্রের সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ট্রাম্পই অভিযানের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিলেন।
২০১৯ সালের ঘটনার পর উত্তর কোরিয়া কোনো সরকারি বিবৃতি দেয়নি। সাম্প্রতিক রিপোর্ট প্রকাশের পরও পিয়ংইয়ং নীরব রয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হয়তো সেই সময় উত্তর কোরীয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি পুরোপুরি ধরতে পারেনি বা কৌশলগত কারণে নীরব থেকেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্যর্থ বিশেষ অভিযানগুলো প্রায়ই সরকারি গোপনীয়তার আড়ালে ঢাকা থাকে। তবে এবার একাধিক সাবেক কর্মকর্তা ও সামরিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা অগোচরে না থাকে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...