বিজ্ঞাপন
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান বেসামরিক মানুষকে ‘গণহত্যা’ এবং জীবনরক্ষাকারী সহায়তা সরবরাহ ইচ্ছাকৃতভাবে বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে ইসরায়েলের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক বলেন, ইসরায়েল “একটির পর একটি যুদ্ধাপরাধ” করছে এবং গাজার ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা “বিশ্বের বিবেককে নাড়া দিচ্ছে।” তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জবাবদিহি করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজা শহরের মানুষদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একদিনে গাজায় আরও ৫২ জন নিহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন শিশু রয়েছেন।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানিয়েছেন, রোববার সকাল থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০টির বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং আরও ১০০টির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে বাস্তুচ্যুত পরিবারের শিবিরসংলগ্ন আবাসিক ভবনগুলোতে আঘাত হানছে। তুফাহ এলাকায় ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে, যেখানে আজ-জারকা জেলায় ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। মসজিদ ও খেলাধুলার মাঠও হামলার নিশানায় ছিল।
স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার নিহতদের মধ্যে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ওসামা বালউশাও রয়েছেন। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় প্রায় ২৫০ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল বিদেশি সংবাদকর্মীদের গাজায় প্রবেশও দিচ্ছে না।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, উত্তর গাজায় একটি ট্যাংকের নিচে রাস্তায় পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরিত হয়ে তাদের চার সেনা নিহত হয়েছেন।
গাজার পরিস্থিতি ক্রমেই মানবিক সংকটে পরিণত হচ্ছে, যেখানে বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য তৎপর হলেও, স্থল হামলার প্রস্তুতি ইসরায়েল চলছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...