ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
স্টারলিংক-এর এই অভিষেকের মধ্য দিয়ে দেশের ইন্টারনেট খাতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। শুরুতেই প্রতিষ্ঠানটি দুটি পৃথক প্যাকেজ নিয়ে এসেছে:
স্টারলিংক রেসিডেন্স (মাসিক খরচ: ৬,০০০ টাকা)
রেসিডেন্স লাইট (মাসিক খরচ: ৪,২০০ টাকা)
তবে, যেকোনো প্যাকেজ গ্রহণের জন্য গ্রাহককে শুরুতেই ৪৭,০০০ টাকার সেটআপ যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই ইন্টারনেট সেবায় কোনো স্পিড বা ডেটা লিমিট নেই। গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস গতি পর্যন্ত আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
আজ থেকেই বাংলাদেশের গ্রাহকরা স্টারলিংক-এর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্ডার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ঘোষিত ৯০ দিনের মধ্যেই যাত্রা শুরুর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলো।
এদিকে, স্টারলিংক-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রাকে স্বাগত জানিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান এবং এই পদক্ষেপকে দেশের প্রযুক্তি ও ডিজিটাল সক্ষমতার নতুন দিগন্ত হিসেবে উল্লেখ করেন।
উচ্চমূল্যের এই সেবা যদিও সাধারণ গ্রাহকদের জন্য কিছুটা ব্যয়বহুল, তবে ফ্রিল্যান্সার, রিমোট ওয়ার্কার, উদ্যোক্তা ও এনজিও সংস্থার জন্য এটি হতে পারে একটি টেকসই বিকল্প। বিশেষত, বাংলাদেশের দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে এখনো ফাইবার অপটিক বা দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছেনি, সেখানে স্টারলিংক কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ফলে ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল খাতে যেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হেলথ কেয়ার, স্টার্টআপ ও গবেষণায় নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।