ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
আহতদের মধ্যে জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ও আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, কুদ্দুস প্রামাণিক, তুহিন হোসেন, জিহাদ হোসেন, জামাত আলী ও ইউনুস আলী কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। অপরদিকে, বিএনপিপন্থী খোকসা সরকারি কলেজের প্রভাষক সরাফাত সুলতান, বাঁখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক টিপু সুলতান, সুকুর শেখ, শরীফ এবং আসাকুর রহমান কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, প্রায় দেড় শ বছর ধরে এই বাজারে ঐতিহ্যবাহী গাজীকালু-চম্পাবতী মেলার আয়োজন হয়ে আসছে। চলতি বছর ১৭ মে মেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল এবং ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসে অস্থায়ী দোকান বসাতে শুরু করেন। কিন্তু মেলায় অশ্লীলতা ও জুয়া খেলার অভিযোগ তুলে জামায়াত ও এর সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা মেলা বন্ধের দাবি তোলেন। অন্যদিকে, প্রশাসনের অনুমতি না মিললেও বিএনপি সমর্থকরা মেলা চালু রাখার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে এবং একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, সংঘর্ষের সময় কয়েক শ জামায়াত কর্মী দেশি অস্ত্র নিয়ে মেলায় হামলা চালায় এবং দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পাবনার চাটমোহর থেকে আসা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আরজ আলী জানান, জামায়াত-শিবিরের লোকজন বারবার দোকান তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। সন্ধ্যার আগে একদল লোক রামদা, হাঁসুয়া, লাঠিসোঁটা নিয়ে দোকানে হামলা চালায়। তিনি ভয়ে পালিয়ে যান, পরে এসে দেখেন তার প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল লুট হয়ে গেছে।
এ ঘটনায় জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান বলেন, “মেলায় অশ্লীলতা ও জুয়ার আয়োজন হওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম। তখন বিএনপির সমর্থকেরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।” অন্যদিকে, বিএনপির শিক্ষক নেতা সরাফাত সুলতান বলেন, “জামায়াতের শত শত লোক অতর্কিতে হামলা চালায়, আমাদের দোকান ভাঙচুর করে। আমরা থানায় মামলা করব।”
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোলায়মান শেখ জানান, মেলার জন্য এ বছর প্রশাসনের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।