Logo Logo
বাংলাদেশ

ঘুষ নিয়ে উধাও ছাতকের পিআইও, স্থবির ২২৭টি সরকারি প্রকল্প


ভোরের বাণী

Splash Image

সুনামগঞ্জ জেলার একমাত্র শিল্পাঞ্চলখ্যাত ছাতক উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কেএম মাহবুবুর রহমান ঘুষের অর্থ নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।


বিজ্ঞাপন


তিনি টানা পাঁচ দিন ধরে অফিস করছেন না, ফলে উপজেলার টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও এডিপিসহ ২২৭টি সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের বিল আটকে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যরা।

জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে পিআইও মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৬ মে সন্ধ্যায় তাকে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে ডাকা হয়। বৈঠকে ইউএনও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ঘুষ বা দুর্নীতির অভিযোগ কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। বৈঠকে পিআইও অফিসের কার্যসহকারী নাজমুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

ওই বৈঠকের পরদিন থেকেই পিআইও মাহবুব অফিসে অনুপস্থিত। তিনি ইউএনওর কাছে ছুটির আবেদন না জমা দিয়েই নিজের অফিসের টেবিলে তা রেখে ছাতক ত্যাগ করেন। অভিযোগ রয়েছে, দুর্নীতির দায় এড়াতে তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে উল্টো ইউএনও ও কার্যসহকারী নাজমুল ইসলামের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন।

এদিকে, ২১ মে কার্যসহকারী নাজমুল ইসলামকে হঠাৎ রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় বদলি করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, পিআইওর ঘুষ কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তাকে সরানো হয়েছে।

ছাতক উপজেলার মুক্তিরগাঁও গ্রামের ইজাজুল হক রনি অভিযোগ করেন, তার গ্রামের রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্পের সেক্রেটারি হিসেবে পিআইও মাহবুব তার কাছ থেকে ২৪,৫০০ টাকা ঘুষ নেন। একইভাবে, হাসনাবাদ-নয়া লম্বাহাটি রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্পে বাহাউদ্দিন শাহীর কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এমন আরও বহু প্রকল্পে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

কার্যসহকারী নাজমুল ইসলাম জানান, ইউএনও ও পিআইওর মধ্যে একাধিকবার বাকবিতণ্ডা হয়েছে। এর পর থেকেই মাহবুব অফিসে অনুপস্থিত। বদলির পেছনেও মাহবুবের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে পিআইও মাহবুবুর রহমান কল কেটে দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ছাতকে পিআইও হিসেবে যোগ দেন কেএম মাহবুব। চলতি বছরের ৫ আগস্ট থেকে তিনি ছাতক থেকে বদলির চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এরমধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ মে পর্যন্ত প্রশিক্ষণে থাকাকালে দোয়ারাবাজারের পিআইও লুৎফুর রহমান অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। তবে তার বিরুদ্ধেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে লুৎফুর রহমান জানান, ইউএনও ও পিআইওর মধ্যে কথাকাটাকাটির বিষয়টি শুনেছেন, তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

প্রতিবেদক-খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ।

আরও পড়ুন

ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্রাণ মজুত, তবুও নেই সহায়তা : ঝড়-বৃষ্টিতে ভাঙা ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির মানবেতর জীবন-যাপন
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক ব্যক্তি ও সমাজ, ঈদুল আজহায় এনসিপির শুভেচ্ছা বার্তা