ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২২ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। জাতীয় স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত ও আইনি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে এ বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ।
প্রথমত, মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। এ খসড়াটি লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিংয়ের পর চূড়ান্ত রূপ পায়। দেশের জলজ সম্পদ সংরক্ষণ এবং মৎস্য খাতকে আধুনিক ও টেকসই করার লক্ষ্যে এই অধ্যাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস সরকারের মধ্যে নৌ-প্রতিরক্ষা সামগ্রী সংক্রান্ত সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারে এ সমঝোতা স্মারক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
তৃতীয়ত, সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে এ বিষয়ে সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কাছ থেকে সময়সীমা ও বাস্তবায়নের প্রভাব সম্পর্কে মতামত চাওয়া হয়েছে, যা ভবিষ্যতের নীতি নির্ধারণে সহায়ক হবে।
চতুর্থত, ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদ পরিবার ও আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসন ও কল্যাণে বিশেষ অধ্যাদেশ ২০২৫ এর খসড়াও অনুমোদিত হয়েছে। দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষে এ অধ্যাদেশ বাস্তবায়িত হলে আন্দোলনের শহিদ ও আহতদের পরিবার পাবে কাঙ্ক্ষিত স্বীকৃতি ও সহায়তা।
পঞ্চম ও শেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে, সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়াও চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। এতে প্রশাসনিক কাঠামোয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে সরকারি চাকরির প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
এসব সিদ্ধান্ত জাতীয় উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।