বিজ্ঞাপন
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসিল বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, “গত রাতটি ছিল ভয়াবহ সহিংসতায় ভরা। ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটি ও বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানালেও তারা হামলা থামায়নি।” তিনি আরও বলেন, এসব হামলায় অন্তত ২০টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
এদিকে হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার পর এবং ট্রাম্প গাজায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়ার পর গাজা সিটির সাধারণ মানুষ নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করে। তবে তাদেরকে নতুন করে সতর্ক করেছে ইসরায়েল। সেনারা জানিয়েছে, গাজা সিটি এখনো “অত্যন্ত বিপজ্জনক যুদ্ধপ্রবণ এলাকা।” ফলে সেখানে ফেরা প্রাণহানির ঝুঁকি ডেকে আনতে পারে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “গাজা সিটিতে আমাদের অভিযান এখনো চলছে। সেখানে যাওয়া নিরাপদ নয়। গাজার উত্তর, দক্ষিণ এবং যেখানে সেনারা সক্রিয় রয়েছে—সেসব এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাস শর্তসাপেক্ষে সম্মতি দেওয়ায় স্থানীয়রা আশা করছেন, আড়াই বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটবে। তবে এটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রূপ নেবে কি না তা অনিশ্চিত। ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ইসরায়েলি সেনাদের তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের বিষয়টি নেই, বরং হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করতে বলা হয়েছে। যা ফিলিস্তিনি সংগঠনটি সহজে মেনে নেবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...