Logo Logo

ভারতে পুলিশি নির্যাতনে ১৩ বছরের মুসলিম বালকের চোখ নষ্ট, ক্ষোভে ফুঁসছে জনমত


Splash Image

ছবি- সংগৃহীত

উত্তর প্রদেশের মুজফফরনগরে পুলিশি হেফাজতে ১৩ বছর বয়সী এক মুসলিম বালকের চোখ নষ্ট হয়েছে। ঘটনাটি ঘিরে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।


বিজ্ঞাপন


ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মুজফফরনগরে ভয়াবহ এক পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় তোলপাড় চলছে। মাত্র ১৩ বছর বয়সী এক মুসলিম বালককে হেফাজতে নিয়ে বর্বরভাবে মারধর করেছে পুলিশ। এ ঘটনার ফলে শিশুটির বাম চোখের দৃষ্টিশক্তি চিরতরে নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মুসলিমদের প্রতি পুলিশের সংবেদনহীন ও বৈষম্যমূলক আচরণের আরেকটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঘটনাটি নবরাত্রির সময় ঘটে। ওই সময়ে পরিবারের মুরগির দোকান কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আবার খোলার ঘোষণা স্থানীয় মসজিদে দেওয়া হয়। জানা গেছে, “কম দামে মুরগি বিক্রি” করার এই ঘোষণা কিছু স্থানীয় হিন্দু বাসিন্দাকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। তারা অভিযোগ জানালে পুলিশ এসে ১৩ বছরের ওই মুসলিম শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায়।

পরিবারের দাবি, পুলিশ তাকে মিথ্যা অভিযোগে আটক করে ভয়াবহভাবে নির্যাতন করে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, শিশুটির বাবা অভিযোগ করেছেন যে, পুলিশের হাতে থাকা অবস্থায় তার সন্তানের ওপর এমন নির্যাতন চালানো হয় যাতে তার এক চোখের দৃষ্টি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।

এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নাবালকটিকে পুলিশের একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে পরিবার পুলিশ আউটপোস্টে পৌঁছে দেখে, তাদের সন্তান হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গারদের পেছনে আটক আছে। পুলিশ প্রথমে বলেছিল, “ছোটখাটো বিষয়,” পরে ছেলেটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর যখন পরিবার ফিরে আসে, তখন তারা শিশুটিকে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত অবস্থায় পায়।

এরপর পরিবারটি ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন এবং একাধিক স্থানীয় প্রশাসনিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। সামাজিক মাধ্যমে এ ঘটনার ভিডিও ও সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মানবাধিকারকর্মীরা ঘটনার স্বাধীন তদন্ত দাবি করেছেন।

মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা বলছেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং ভারতের মুসলিমদের ওপর ক্রমবর্ধমান পুলিশি নিপীড়নের একটি ভয়াবহ উদাহরণ। বর্তমানে বিষয়টি তদন্তাধীন থাকলেও, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...