বিজ্ঞাপন
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার মৃত ইউসুফের স্ত্রী হাজেরা বেগম, মেয়ে নাজমা আক্তার ও জামাই পানি নিষ্কাশনের খাল বিক্রি করে দেওয়ায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করায় পানি বের হওয়ার পথ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী রজিনা আক্তারসহ কয়েকজন জানান, বৃষ্টি হলেই বাড়ি ও রাস্তায় হাঁটুসমান পানি জমে। আগে এখানে একটি গড়ের খাল ছিল, যেখান দিয়ে সহজে পানি নিষ্কাশন হতো। এখন খালটি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। যদিও নামমাত্র একটি পাইপ রাখা হয়েছে, কিন্তু তা দিয়ে পানি নামতে পারছে না।
তবে হাজেরা বেগম ও তার মেয়ে নাজমা আক্তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা জমি বিক্রি করেছি, ক্রেতারা পাইপ রেখেছিল। এখন তারা সেটি পরিষ্কার রাখছে না। এতে আমাদের দোষ নেই।”
অন্যদিকে জমির ক্রেতা ইসমাইল বলেন, “আমি ইউসুফের পরিবারের কাছ থেকে জমি কিনেছি, খাল নয়। রেজিস্ট্রেশনের সময় হাজেরা বেগম জোর করে খালসহ জমি মেপে দেন। তখনই বলেছিলাম, এতে পানি যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তারা গুরুত্ব দেয়নি। উল্টো বলেছিল, কোনো সমস্যা হলে তারা নিজেরাই দেখবে।”
স্থানীয়রা জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে জলাবদ্ধতার পানিতে তিনটি শিশু ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ভাগ্যক্রমে স্থানীয়দের তৎপরতায় তাদের প্রাণে রক্ষা হয়।
এ বিষয়ে চরমোহনা ইউনিয়ন প্রশাসক আব্দুস সাত্তার বলেন, “স্থানীয়ভাবে দ্রুত সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রতিবেদক- মাহামুদ সানি, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...