ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় নতুন করে সীমান্ত নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪ ব্যাটালিয়নের তথ্য অনুযায়ী, ছাগলনাইয়া পৌরসভার মটুয়া সীমান্ত দিয়ে ১২ জন, খেজুরিয়া দিয়ে ১২ জন এবং কুমিল্লার ফুলগাজী সীমান্তে আরও ১৫ জনকে বিএসএফ পুশইন করেছে। তাদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, পাঁচজন নারী ও তেরজন শিশু রয়েছে। এসব পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। সকলেই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
ঘটনার পরপরই বিজিবির সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করেন এবং অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা ব্যক্তিদের আটক করেন। পরে তাদের ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোশাররফ হোসেন জানান, “সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি। বিএসএফের এমন আচরণ নীতিগতভাবে অগ্রহণযোগ্য।” তিনি আরও জানান, সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পুশইন আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারের পরিপন্থী। এমন ঘটনায় সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশের এ ধরনের আচরণ নিয়ে সরকারের উচ্চমহলে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সীমান্ত বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের পুশইন কেবল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কেই নয়, বরং মানবিক দিক থেকেও চরম উদ্বেগজনক। বিশেষ করে শিশু ও নারী সদস্যদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্নের জন্ম দিতে পারে।
প্রতিবেদক - মশি উদ দৌলা রুবেল, ফেনী।