গাজা যুদ্ধের দুই বছরে ইসরায়েলের পাশে ২১.৭ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি:- সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিকে অন্তত ২ হাজার ১৭০ কোটি ডলার (২১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার) সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত দুই বছরে বাইডেন ও ট্রাম্প প্রশাসনের যৌথ অনুমোদনে এই বিপুল অর্থ বরাদ্দের তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
গতকাল মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের “কস্টস অব ওয়ার প্রজেক্ট” পরিচালিত গবেষণায় এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষণাটি সম্পন্ন হয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপনসিবল স্টেটক্র্যাফট–এর সহযোগিতায়।
ব্রাউন ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, কস্টস অব ওয়ার প্রজেক্ট ৩৫ জন গবেষক, আইনবিশেষজ্ঞ, মানবাধিকারকর্মী ও চিকিৎসকের একটি দল, যারা ২০১১ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী সংঘাত-সম্পর্কিত অর্থনৈতিক ব্যয় নিয়ে গবেষণা করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে দেওয়া এই সহায়তা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র গত দুই বছরে মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তৃত অঞ্চলে নিরাপত্তা সহায়তা ও সামরিক অভিযানে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। যদিও প্রতিবেদনের বেশির ভাগ তথ্য উন্মুক্ত সূত্র থেকে নেওয়া, তবু এটি ইসরায়েলের সামরিক সহায়তা সংক্রান্ত সবচেয়ে বিস্তারিত চিত্রগুলোর একটি বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ধারাবাহিক সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না। এছাড়া, ভবিষ্যতে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের জন্য আরও কয়েক শ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধান প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুদ্ধের প্রথম বছরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইসরায়েলকে ১৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার, আর দ্বিতীয় বছরে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে।
এই বিপুল সহায়তা মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব ও ইসরায়েলের সামরিক আধিপত্যকে আরও দৃঢ় করেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...