ইমেজ : এসবিএস নিউজ (sbs.news.au)
বিজ্ঞাপন
গতকাল বুধবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই যুগান্তকারী অগ্রগতির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ইসরায়েল এবং হামাস উভয়েই আমাদের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় খুব শিগগিরই সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং সমঝোতার ভিত্তিতে ইসরায়েলও গাজা থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করবে।”
এই শান্তি আলোচনার অন্যতম প্রধান মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারও চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) জানিয়েছেন, “আমরা মধ্যস্থতাকারীরা ঘোষণা করছি যে, গাজায় শান্তি স্থাপন সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের সমস্ত শর্ত বাস্তবায়নে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটবে, সমস্ত ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি কারাবন্দিরা মুক্তি পাবে এবং গাজায় ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশে আর কোনো বাধা থাকবে না।” চুক্তির বিস্তারিত বিষয়াবলী পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।
চুক্তির প্রেক্ষাপট
এই শান্তি চুক্তির পথচলা শুরু হয়েছিল গত ২৯ সেপ্টেম্বর, যেদিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে একটি নতুন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার কথা বিশ্বকে জানান। প্রস্তাবটি দ্রুততম সময়ে ইসরায়েল, হামাস এবং অপর দুই মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর ও কাতারের কাছে পাঠানো হয়। ইসরায়েল, মিশর ও কাতার তাৎক্ষণিক সম্মতি দিলেও হামাস কয়েকদিন সময় নেয়।
অবশেষে ৩ অক্টোবর হামাস প্রস্তাবে সম্মতি জানালে নাটকীয়ভাবে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। পরদিনই, অর্থাৎ ৪ অক্টোবর, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানান। এর ধারাবাহিকতায় গত ৬ অক্টোবর থেকে মিশরের লোহিত সাগর তীরবর্তী পর্যটন শহর শারম আল শেখে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিদের মধ্যে চূড়ান্ত আলোচনা শুরু হয়। দুই দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর উভয় পক্ষ চুক্তির প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়।
আলোচনা যে ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন ট্রাম্প। চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি যতদূর শুনেছি, আলোচনা খুব ভালো দিকেই এগোচ্ছে। এটি চমৎকার একটি খবর। এ সপ্তাহের শেষের দিকে, সম্ভবত রোববার, আমি মধ্যপ্রাচ্য সফরে যেতে পারি।”
সূত্র: এএফপি
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...