ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
আগুনে দোকানগুলোতে থাকা পণ্যদ্রব্য ছাড়াও চারটি ব্যাটারিচালিত টমটম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত আনুমানিক ৪টার দিকে হঠাৎ করে বাজারে আগুনের শিখা দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন চারটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফুলগাজী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে দোকানগুলো সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়।
পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে বাসুরা গ্রামের বেলাল খন্দকারের টমটম বিক্রির দোকান, পরশুরামের কালিকাপুর গ্রামের মহিউদ্দিনের ফুচকার দোকান, বরইয়া গ্রামের সুমনের টমটম দোকান ও একই গ্রামের শামীমের টমটম গ্যারেজ। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, দোকানে থাকা মূল্যবান মালামাল বের করে আনার কোনো সুযোগ তারা পাননি।
তারা আরও জানান, প্রতিটি দোকানে প্রায় ৪ থেকে ৬ লাখ টাকার মালামাল ছিল। আগুনে তা সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় এখন তারা পথে বসেছেন। এক দোকান মালিক বলেন, “এটাই ছিল আমাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন, এখন কী করব বুঝতে পারছি না।”
দোকান মালিকদের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ঘটনাস্থলে ভিড় করেন শতাধিক স্থানীয় মানুষ। অনেকেই আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেন। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি সহযোগিতা চেয়ে এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ নিতে ঘটনাস্থলে যান এবং দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দেন।
এই অগ্নিকাণ্ড শুধু চারটি দোকান ধ্বংস করেনি, বরং চারটি পরিবারের জীবিকা, স্বপ্ন ও নিরাপত্তাবোধও ভেঙে দিয়েছে। নিয়মিত বৈদ্যুতিক লাইন চেকিং ও অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি, যাতে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।
প্রতিবেদক - মশি উদ দৌলা রুবেল, ফেনী।