বিজ্ঞাপন
“সুখবর! সুখবর! সুখবর!” — প্রতিদিন এমন বাহারি প্রচার-প্রচারণার শব্দে ঘুম ভাঙছে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার মানুষের।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রচারণার মাইকিংয়ের উচ্চমাত্রার শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বাকেরগঞ্জবাসী। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরিচয়ের প্রচারণা সকাল থেকেই শুরু হয়ে চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভা ও আশপাশের এলাকায় প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নানা পণ্য বিক্রি, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ‘সুখবর’ প্রচারের নামে মাইকের অতিরিক্ত শব্দে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রচারণার নামে উচ্চমাত্রার মাইকিং এখন এক প্রকার ‘ফ্যাশনে’ পরিণত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত শব্দ দূষণ মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক দুশ্চিন্তা ও নিদ্রাহীনতা সৃষ্টি করে। সম্প্রতি বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে ডাক্তারদের চেম্বার প্রচারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এসব লাগামহীন মাইকিংয়ে শিক্ষার্থী ও মসজিদের মুসল্লিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, মানুষের সহনীয় শব্দমাত্রা ৪৫ ডেসিবেল পর্যন্ত, কিন্তু বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার মাইকিংয়ের শব্দমাত্রা প্রায় ৭০ ডেসিবেল পর্যন্ত পৌঁছায়, যা মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
নির্দিষ্ট সময়ের তোয়াক্কা না করে এভাবে দিনরাত প্রচারণার নামে শব্দ দূষণ অব্যাহত থাকলে জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
‘শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬’-এ বলা আছে, ভূমির ব্যবহার অনুযায়ী নির্দিষ্ট এলাকায় শব্দের মাত্রা নির্ধারিত থাকবে। আবাসিক, শিক্ষা ও হাসপাতাল এলাকায় নির্দিষ্ট সীমা মানা বাধ্যতামূলক। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সব এলাকাতেই একই মাত্রার শব্দে মাইক ব্যবহার করা হচ্ছে।
মফস্বল শহরগুলোতে প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিদিনই বাড়ছে শব্দ দূষণ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
-বরিশাল প্রতিনিধি
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...