হিজরত থেকে শিক্ষা— ইসলামী দৃষ্টিতে ভ্রমণ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ
বিজ্ঞাপন
ইসলামে ভ্রমণকে শুধু আনন্দ বা বিনোদনের উৎস হিসেবে দেখা হয়নি; বরং এটি জ্ঞানার্জন, আত্মিক জাগরণ ও আল্লাহর সৃষ্টির নিদর্শন উপলব্ধির এক মহৎ উপায়। পবিত্র কুরআনে একাধিক আয়াতে মানুষকে পৃথিবীতে বিচরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় এবং আল্লাহর সৃষ্টির গভীরতা উপলব্ধি করে।
আল্লাহ তাআলা বলেন—
“তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো, অতঃপর দেখো কেমন ছিল পূর্ববর্তী জাতিসমূহের পরিণাম।” (সূরা আনআম: ১১)
এই আয়াতগুলো স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ ইতিহাস, সংস্কৃতি, সভ্যতা ও সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে জানতে পারে। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে ভ্রমণ কেবল আনন্দ নয়, বরং চিন্তা, জ্ঞান ও আত্মসমালোচনার একটি পথ।
নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনেও ভ্রমণ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
তাঁর হিজরতের ঘটনাই ইসলামী ইতিহাসে নতুন যুগের সূচনা করে। সাহাবিরা ইসলামের দাওয়াহ ছড়িয়ে দিতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করেছেন। তাঁদের এই ভ্রমণ কেবল ধর্ম প্রচারই নয়, বরং মানবতার কল্যাণে এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে
ভ্রমণের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি ও কুদরতের বিস্ময়কর নিদর্শন প্রত্যক্ষ করে, নতুন জাতি ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়, এবং নিজের অবস্থান ও সীমাবদ্ধতা অনুধাবন করতে শেখে। এভাবেই ভ্রমণ মানুষকে আত্মউন্নয়ন ও রুহানিয়াতের দিকে পরিচালিত করে।
তবে ইসলামে ভ্রমণের কিছু আদব ও শর্ত রয়েছে। ভ্রমণের উদ্দেশ্য হতে হবে হালাল, আচরণে শালীনতা বজায় রাখতে হবে এবং নামাজ ও ইবাদতের প্রতি যত্নবান হতে হবে। ইসলাম শিখিয়েছে— জীবনের প্রতিটি কাজে ন্যায়, পরিমিতি ও ইবাদতের মনোভাব থাকা উচিত, এমনকি ভ্রমণেও।
অতএব, ভ্রমণ শুধু দৃষ্টিনন্দন স্থান দেখার আনন্দ নয়; এটি হতে পারে আল্লাহর মহিমা উপলব্ধি, জ্ঞানের বিস্তার ও আত্মিক জাগরণের এক চমৎকার অভিজ্ঞতা। ইসলাম এভাবেই ভ্রমণকে করে তুলেছে জ্ঞান, চিন্তা ও ইমানের এক পবিত্র যাত্রা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...