ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা আন-নূর ফাউন্ডেশন এবং নুর গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বিজয়ীদের হাতে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। প্রতিযোগিতায় ৮০ জন হাফেজ অংশগ্রহণ করেন, যাদের মধ্য থেকে ২০ জনকে চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
পুরোদিনব্যাপী আয়োজনে বিভিন্ন বয়সের প্রতিযোগীরা সুন্দর ও বিশুদ্ধ উচ্চারণে কুরআনের বিভিন্ন অংশ তেলাওয়াত করেন। উপস্থিত দর্শক ও বিচারকমণ্ডলী তাদের সুমধুর কণ্ঠে কোরআনের তেলাওয়াতে অভিভূত হন।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মতিঝিল মিছবাহুল উলুম কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস শায়খ মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাংলাদেশের প্রধান ক্বারী শায়খ আহমাদ বিন ইউছুফ আযহারী কুরআন তেলাওয়াত করে দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাগ্রত কবি ও ইসলামী সংগীতশিল্পী মুহিব খান, ফিনালে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইয়াকুব সহ আরও অনেকে।
আন-নূর গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, “এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা কুরআনের হাফেজদের সম্মানিত করতে চাই, এবং নতুন প্রজন্ম যেন কুরআন মুখস্থে আগ্রহী হয় সে লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্যোগ।” তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতেও এই প্রতিযোগিতা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।
এই আয়োজন শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং কুরআনের আলোকে সমাজ আলোকিত করার একটি প্রয়াস, যা দেশের ধর্মীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে আরও মজবুত করবে।
প্রতিবেদক - গিয়াস উদ্দিন রনি, নোয়াখালী।