বিজ্ঞাপন
স্থানীয় প্রশাসনের বরাতে জানা যায়, আফগান সীমান্তবর্তী খাইবার বিভাগে টিটিপির এক বিস্ফোরকবাহী গাড়িচালিত হামলায় ১১ জন প্যারামিলিটারি সদস্য নিহত হন। একইদিনে প্রদেশের একটি পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে আরও ৭ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে সংগঠনটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টিটিপির এক সন্ত্রাসী বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে ট্রেনিং স্কুলের মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকে এবং সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটায়। এর পরপরই সেখানে তীব্র গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এছাড়া প্রদেশের বাজাপুর বিভাগে আলাদা আরেক হামলায় তিন বেসামরিক নাগরিকসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার সকালে সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এসব হামলার দায় স্বীকার করেছে টিটিপি।
পাকিস্তান সরকার বলছে, আফগান তালেবান ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) দুইটি আলাদা সংগঠন হলেও তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র রয়েছে। তবে আফগান তালেবান বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে টিটিপির শীর্ষ নেতাকে লক্ষ্য করে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমান হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। তার পরের দিনই খাইবার পাখতুনখাওয়ায় টিটিপির একাধিক হামলার ঘটনা ঘটে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে টিটিপির হামলায় ৩২ জন সেনা সদস্য ও তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০২১ সালে পশ্চিমা সমর্থিত আশরাফ গণির সরকার পতন এবং আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে টিটিপির কার্যক্রম অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তান সরকারের অভিযোগ, তালেবান প্রশাসন টিটিপিকে আশ্রয় ও মদদ দিচ্ছে, যদিও তালেবান পক্ষ তা অস্বীকার করে আসছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...