বিজ্ঞাপন
মুক্তিপ্রাপ্ত সাত ইসরায়েলি পুরুষ জিম্মি হলেন— জিভ বেরমান, গালি বেরমান, এইতান মোর, মাতান আঙ্গরেস্ত, ওমরি মিরান, গাই গিলবোয়া-দালাল এবং অ্যালন ওহেল।
দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত নতুন পরিকল্পনার ভিত্তিতে গত সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। চলতি সপ্তাহ থেকে কার্যকর হওয়া সেই যুদ্ধবিরতির পর এটাই প্রথম জিম্মি মুক্তির ঘটনা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্রায় এক হাজার হামাস যোদ্ধা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলায় এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় তারা। ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার (১৯৪৮) পর ওই হামলাকেই দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।
পরদিন ৮ অক্টোবর থেকে জিম্মিদের উদ্ধারের অজুহাতে গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ভয়াবহ এই অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ।
গত দুই বছরে একাধিকবার যুদ্ধবিরতির চেষ্টা হলেও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় হামাস বেশ কিছু জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল। বর্তমানে গোষ্ঠীটির হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪০ জন জিম্মি রয়েছে বলে জানানো হলেও, তাদের মধ্যে জীবিত আছেন মাত্র ২০ জন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে নতুন একটি প্রস্তাব দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষ সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়ার পর গত শুক্রবার থেকে কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী জীবিত ২০ জন জিম্মির মধ্যে থেকে প্রথম ধাপে ৭ জনকে সোমবার মুক্তি দিয়েছে হামাস। জীবিত জিম্মিদের নামের তালিকা এরই মধ্যে ইসরায়েলকে সরবরাহ করেছে গোষ্ঠীটি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...