ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
কলেজ প্রাঙ্গণে শনিবার (২৪ মে) দুপুরে এ সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া কলেজ থেকে বিতাড়িত হন। দীর্ঘ বিরতির পর তিনি স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শনিবার সকাল ৯টার দিকে পুনরায় কলেজে যোগদান করতে যান।
যোগদানের সময় কলেজের গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি ও হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষক আবু সাঈদ বিজয়ের সঙ্গে অধ্যক্ষ ভুঁইয়ার সমর্থকদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে শিক্ষক আবু সাঈদ বিজয় ও কামরুন নাহারসহ ৫ শিক্ষার্থী—মিরান, জিহাদ, মিনহাজ, ইমন গাজী প্রমুখ আহত হন। মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ জন। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার নিরুপম মজুমদার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ অলি উল্লাহ ও সেনাবাহিনীর একটি দল দ্রুত কলেজ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহত শিক্ষক আবু সাঈদ বিজয় বলেন, "গভর্নিং বডির সভাপতির মাধ্যমে অধ্যক্ষের যোগদান নিয়ম অনুযায়ী হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তা উপেক্ষা করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।"
অন্যদিকে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া দাবি করেন, তিনি নিয়ম অনুযায়ী যোগদান করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু উপাধ্যক্ষ তার সঙ্গে যোগাযোগ না করেই অনুপস্থিত ছিলেন, যার ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। তিনি কোনো রাজনৈতিক প্রভাব খাটাননি বলেও মন্তব্য করেন।
শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদি কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করে, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চিতোষী ডিগ্রি কলেজে আগেও প্রশাসনিক অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছিল। এই সাম্প্রতিক ঘটনা সেই উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটকে আরও ঘনীভূত করেছে।
প্রতিবেদক-হাসান আহমেদ