Logo Logo

তুমুল ঝড়-বৃষ্টিতে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ১৩ জনের প্রাণহানি, আহত ৯২


ভোরের বাণী

Splash Image

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ভয়াবহ ঝড়-বৃষ্টিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩ জন, আহত হয়েছেন আরও ৯২ জন। শনিবার (২৪ মে) ঘটে যাওয়া এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর জানিয়েছে প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ)।


বিজ্ঞাপন


পিডিএমএ সূত্রে জানা গেছে, মূলত পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘরবাড়ি ধসে অধিকাংশ প্রাণহানি হয়েছে। এসব বাড়িতে বসবাসরত মানুষ ঝড়ের সময় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে না পারায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে। স্থানীয় একটি কারখানার ছাদ ধসে এক শ্রমিকের মৃত্যু ও পাঁচজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন একজন।

ঝড়ে অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি, পুরোনো দালান, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। জিও নিউজের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ঝড়ে বহু সোলার প্যানেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগটি মোকাবিলায় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ প্রশাসন, উদ্ধারকারী দল ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রদেশজুড়ে কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিডিএমএ'র মহাপরিচালক ইরফান আলী কাতিয়া।

তিনি নাগরিকদের অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, "বৈদ্যুতিক খুঁটি, ঝুলন্ত তার এবং ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা থেকে দূরে থাকুন। কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে ১১২২ হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন।"

এর আগে পিডিএমএ ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কায় জনগণকে সতর্ক থাকতে আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্কবার্তা জারি করেছিল। তবে বাস্তবে দুর্যোগ এতটা ভয়াবহ হবে, তা অনেকেই আঁচ করতে পারেননি।

পাকিস্তানে মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ও বজ্রঝড় খুব একটা বিরল নয়। বিশেষ করে পাঞ্জাব প্রদেশে প্রায়ই মৌসুমি পরিবর্তনের সময় এমন ঝড়-বৃষ্টি দেখা যায়। তবে এবার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং প্রাণহানি অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি বলেই মনে করছে প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...