ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৫ মে) সকাল ১১টা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচিতে শোকাহত পরিবারের সদস্য, স্থানীয় জনগণ ও ছাত্রদল-সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে নিহত রাফির বাবা আবুল কালাম আজাদ, অশ্বদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম সহ অনেকে বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, “হত্যার চার দিন পার হলেও অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন শাহীন-কে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি, যা আমাদের বিচার ব্যবস্থার প্রতি প্রশ্ন তোলে।” বক্তারা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। দাবি পূরণ না হলে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে অলিপুর গ্রামে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিলেন রাফি। খেলায় এক বন্ধুর ঠোঁট কেটে গেলে তাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন শাহীনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রাফির সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন শাহীন ছুরি দিয়ে রাফিকে আঘাত করেন।
আহত অবস্থায় রাফিকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে রাতেই মারা যান তিনি। ওই ঘটনায় নিহত রাফির বাবা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিন শাহীনকে একমাত্র আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার পর অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।”
নিহত রাফির হত্যাকাণ্ডে পুরো এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসীর দাবি, এই হত্যার দ্রুত বিচার না হলে সাধারণ মানুষের আইনের প্রতি আস্থা হারিয়ে যাবে।
প্রতিবেদক-গিয়াস রনি, নোয়াখালি।