Logo Logo

ইয়েমেনে জাতিসংঘের একটি ভবনে হুথিদের হামলা


Splash Image

শনিবার ইয়েমেনে জাতিসংঘের একটি ভবনে হুথি বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী, তবে ভবনের সমস্ত কর্মী ‘নিরাপদ এবং সুরক্ষিত’ আছেন।


বিজ্ঞাপন


জাতিসংঘের ইয়েমেনের আবাসিক সমন্বয়কারীর মুখপাত্র জিন আলম এএফপিকে জানান, “আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে সানায় অবস্থিত জাতিসংঘ কম্পাউন্ডে আনসার আল্লাহ নিরাপত্তা সদস্যরা অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে। কম্পাউন্ডে বর্তমানে ১৫ জন আন্তর্জাতিক কর্মী রয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কম্পাউন্ডে থাকা সকল কর্মী নিরাপদ আছেন এবং তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।”

আলাম এই ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, এটি একটি ‘চলমান ঘটনা’ এবং জাতিসংঘ ‘প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

জাতিসংঘ জানিয়েছে, হুথি বিদ্রোহীরা গত ৩১ আগস্টও সানায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ১১ জনেরও বেশি কর্মীকে আটক করেছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জ্যেষ্ঠ হুথি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, আটক কর্মীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিক শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা আমাদের ৫৩ জন সহকর্মীর নির্বিচারে আটক বন্ধের আহ্বান অব্যাহত রাখব।” তিনি বৃহস্পতিবার বিদ্রোহী নেতা আবদেলমালেক আল-হুথির এক টেলিভিশন ভাষণের জবাবে এই মন্তব্য করেন। ভাষণে হুথি নেতা দাবি করেন, তার বাহিনী “সবচেয়ে বিপজ্জনক গুপ্তচর সেলের একটি শাখা উৎখাত করেছে, যা ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং ইউনিসেফের মতো মানবিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিল।”

ডুজারিক এসব অভিযোগকে ‘বিপজ্জনক এবং অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এই হামলাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরান সমর্থিত হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে কয়েক ডজন জাতিসংঘ কর্মীকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে, ইয়েমেনে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারীকে আনুষ্ঠানিকভাবে হুথি বিদ্রোহীদের দখলে থাকা রাজধানী সানা থেকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের অন্তর্বর্তী রাজধানী আদেনে স্থানান্তর করা হয়।

জাতিসংঘের মতে, দশ বছরের গৃহযুদ্ধ আরব উপদ্বীপের অন্যতম দরিদ্র দেশ ইয়েমেনকে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...