Logo Logo

যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল


Splash Image

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। রোববার (১৯ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে অন্তত দু’বার হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।


বিজ্ঞাপন


তবে ইসরায়েলের এক সামরিক কর্মকর্তা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শী দুই ফিলিস্তিনি জানিয়েছেন দক্ষিণ রাফাহ শহরের ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। ওই সংঘর্ষের পরপরই ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে দুটি বিমান হামলা চালানো হয়।

যদিও ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তা বিমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেননি, তিনি দাবি করেন হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর স্নাইপার গুলি ও রকেটচালিত গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। তার ভাষায়, “দু’টি ঘটনাই ইয়েলো লাইনের পূর্বদিকে, ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ঘটেছে—যা যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন।”

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের তথ্যমতে, রাফাহসহ দক্ষিণ গাজার বিভিন্ন স্থানে বর্তমানে অভিযান ও বিমান হামলা পরিচালনা করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। দেশটির টেলিভিশন চ্যানেল–১২ জানায়, দক্ষিণ গাজার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের মধ্যে ফোনালাপ চলছে।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের পর দক্ষিণ গাজায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, রাফাহ এলাকায় হামাস যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। পাশাপাশি সেখানে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে, যাতে ইসরায়েলি সৈন্যরা আহত হয়েছেন এবং এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সূত্র জানায়, গাজায় চলমান এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে ইসরায়েলি সৈন্যদের সঙ্গে কাজ করা একটি স্থানীয় গোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধে হামাসের অভিযানের জেরে। ইসরায়েলি বাহিনীর সহযোগী ওই গোষ্ঠীর সদস্যদের ফিলিস্তিনিরা ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে দেখে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, হামাস বর্তমানে সশস্ত্র ওই মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সদস্যদের আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে।

যদিও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত হামাস বা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...