বিজ্ঞাপন
পেসকভ বলেন, মস্কোর সঙ্গে তেহরানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের চালানো হামলার নিন্দা জানায় ক্রেমলিন। তিনি বলেন, “ইরান আমাদের অংশীদার এবং আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গতিশীলভাবে গড়ে উঠছে। আমরা অবশ্যই ইরানের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য প্রস্তুত।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় তেহরানের ওপর অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করছে, যা পরিস্থিতিকে অত্যন্ত জটিল করে তুলেছে।
এদিকে, সোমবার ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলি লারিজানির সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক বিশেষ দূতের। এর এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে লারিজানি ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির একটি বার্তা তার হাতে তুলে দেন।
রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে গত জানুয়ারিতে দুদেশের রাষ্ট্রপ্রধান পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। যদিও চুক্তিতে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা বিষয়ে কোনও শর্ত নেই, রাশিয়া আইনগতভাবে ইরানকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে এবং ইরান ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করছে।
গত মাসে রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক জ্বালানি সংস্থা রোসাটম ইরানের সঙ্গে ২৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তির আওতায় ইরানে চারটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। ইরান বর্তমানে বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে এবং দেশটির একমাত্র কার্যকর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর শহরে অবস্থিত, যা রাশিয়া নির্মাণ করেছিল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...