Logo Logo

বাকেরগঞ্জে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলা, আহত ৫


Splash Image

বাকেরগঞ্জে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে অংশ নেওয়া টিমের সদস্যদের ওপর জেলেদের হামলায় ৫ ( পাঁচ) জন আহত হয়ছে। বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ৪ অক্টোবর থেকে ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে নদীতে পাহারা বসালেও ইলিশ নিধন রোধ করতে পারছে না।


বিজ্ঞাপন


৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া চলমান ইলিশ নিধনবিরোধী প্রশাসনের অভিযানিক টিমের ওপর বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফা হামলা হয়েছে।

২০ অক্টোবর সোমবার বেলা ১ টার দিকে উপজেলার তেতুলিয়া নদীর অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত বিশারীকাঠি নামক স্থানে অভিযানিক টিমের ওপর স্থানীয় সঙ্গবদ্ধ জেলেরা হামলা চালায়। হামলায় উপজেলা মৎস্য অফিসের ডাটা এনুমারেটর মোঃ সাদ্দাম হোসেন, মোঃ জসিম উদ্দিন ও বোটের মাঝি, পুলিশের এএসআই হুমায়ুন ও কনস্টেবল প্রান্তসহ ৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে জেলেদের উপর ৬ রাউন্ড গুলি ছুড়লে জেলেরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দাঁড়িয়ে ইউনিয়নের বিশারীকাঠীর তেতুলিয়া নদীতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ইলিশ নিধনবিরোধী অভিযানে অংশ নেয়। তাদের কাছে খবর ছিল তেতুলিয়া নদীর অভয়াশ্রমের আশপাশে অন্তত অর্ধশত জেলে নৌকা নিয়ে ইলিশ নিধন করছেন। অভিযানিক টিম অগ্রসর হলে জেলেরা ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে। একপর্যায়ে প্রশাসনের নৌযানটি জেলে ট্রলারের কাছাকাছি গেলে মৎস্যজীবীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে।

এ সময় মৎস্য অফিসের দুই কর্মচারী ও পুলিশ সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়। এর আগে গত ৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের সময় মৎস্য বিভাগের ট্রলারে হামলা চালায় জেলেরা। ওই হামলার ঘটনায় ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৭ জনকে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ককে জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তন্ময় হালদার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ দণ্ড প্রদান করেন। হামলার কথা স্বীকার করে পুলিশের এএসআই হুমায়ুন জানায়, প্রশাসনের নিয়মিত ইলিশ নিধন অভিযানে নদীতে নেমে জেলেদের কাছে এক ধরনের অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে। সারিবদ্ধভাবে জেলেরা জাল ফেলে ইলিশ শিকার করছে। তাদের রুখতে গেলে হামলার শিকার হতে হচ্ছে। এ সময় নিজেদের কাছে থাকা অস্ত্র আত্মরক্ষার্থে ব্যবহার করেছেন। অভিযানে জেলেদের হামলার ভিডিও-চিত্রে দেখা যায়, তেতুলিয়া নদীতে দিনেরবেলা শত শত ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে জেলেরা ইলিশ শিকার করছেন। দুর্বল গতির একটি স্পিড বোট নিয়ে সেখানে হানা দিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

কিন্তু নাগালে যাওয়ার আগেই জেলে দ্রুতগতির ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো স্থান ত্যাগ করে, যা নির্বাক হয়ে দেখেছেন কর্মকর্তারা। নদীতে প্রশাসনের এই অসহায়ত্ব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানায়, গত ৪ অক্টোবর থেকে রোববার পর্যন্ত দপ্তরটি ৪৮ টি অভিযানে অংশ নিয়েছে। পুলিশ, কোস্ট গার্ড, আনসার এবং উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে মোবাইল কোর্ট গঠন করে অভিযান চালানো হয়।

এখন পর্যন্ত ৪৮টি অভিযানে ৪৮ টি মামলায় ১৬ জন জেলেকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযান চালাতে গিয়ে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে হামলার শিকার হতে হয়েছে। তবে সোমবার দুপুরে বড়ো হামলা হয়েছে। এতে পুলিশসহ ৫জন আহত হয়েছে। পুলিশ নিজের আত্মরক্ষার্থে গুলি বর্ষণ করেছে। না হয় বড়ো ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল।

-বরিশাল প্রতিনিধি, জাহিদুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...