ভোরের বাণী
বিজ্ঞাপন
টাইমস অফ ইসরায়েল ও ইসরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টার কেএএন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ ‘গিডিওনের রথ’ নামক অভিযানের অংশ, যার লক্ষ্য গাজা উপত্যকার পূর্ণ সামরিক নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
বার্তা সংস্থা তাসের বরাতে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েল সেনাবাহিনী নয়টি নিয়মিত পদাতিক ও সাঁজোয়া ব্রিগেড গাজা উপত্যকায় মোতায়েন করেছে। এই পদক্ষেপের পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো—তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী লড়াইয়ের জন্য শক্তি কেন্দ্রীভূত করা।
এই অভিযান ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার ৪ মে অনুমোদিত সিদ্ধান্তের ফল। এর আওতায় হাজার হাজার রিজার্ভ সেনাও ডেকে পাঠানো হয়েছে। ১৮ মে থেকে এই অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়, যখন বিভিন্ন দিক থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় স্থল আক্রমণ জোরদার করে।
কেএএন-এর এক সামরিক সূত্র জানিয়েছে, ‘গিডিওনের রথ’ নামক নতুন এই আক্রমণ কয়েক মাস স্থায়ী হতে পারে। ইতোমধ্যে উত্তর গাজা থেকে সাধারণ জনগণকে দক্ষিণের দিকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী দখল করা এলাকাগুলোতে দীর্ঘমেয়াদে থেকে যাবে বলেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৫৩,৯০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এই বর্বর আক্রমণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হলেও, তেলআভিভ সরকার তা অগ্রাহ্য করে সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে।
গাজায় এই চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) ইসরায়েল এখন গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
গাজা উপত্যকায় এখন এক গভীর সঙ্কটকাল চলছে—যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের অভিযোগ ক্রমাগত জোরালো হচ্ছে।