ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির ১২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, “ইলিশ মাছের প্রজননের সময় আশ্বিনের পূর্ণিমার চারদিন আগে থেকে শুরু করে মোট ২২ দিন ধরে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকে। এই সময়সূচি বহু গবেষণা ও জেলেদের সম্মতির ভিত্তিতেই নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা যখন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করি, তখন জেলেদের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। কাজেই ভারত কী করছে তা দেখে নয়, আমরা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করবো।”
নদী ও সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “নদী থেকে জেলেরা যে মাছ ধরে, সেগুলো প্রকৃতি থেকে পাওয়া সম্পদ। মা মাছকে ডিম পাড়ার সময় দিতে হবে, ছোট মাছগুলোকে বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। মাছকে রক্ষা করতে না পারলে ভবিষ্যতে কেউই মাছ পাবে না।”
দাদন প্রথা ও জেলেদের ঋণ সংকট প্রসঙ্গে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, “দাদন একটি বড় সমস্যা—এটা সবাই স্বীকার করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি বলেছেন, দাদন দূর করা জরুরি। আমরা ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি, যা এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে আছে। আপাতত অন্যান্য এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের সহায়তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগে জেলেদের পরিবার মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ে। দুর্যোগের সময় তারা জানে না জেলে বেঁচে আছে না মারা গেছে। দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে যাতে এই পরিবারগুলো উপযুক্ত সুবিধা পায়।”
ভোটাধিকার বিষয়ে জেলেদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, “আগামী নির্বাচন সামনে। আপনারা ভোট দেওয়ার আগে দাবি করবেন—যারা আপনাদের সমস্যাগুলো সমাধান করবে, তাদেরকেই ভোট দেবেন। ভোট একটি গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার।”
অবৈধ জাল ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন, “কারেন্ট জাল, চায়না জালের মতো অবৈধ জাল ব্যবহার করা হচ্ছে। যারা প্রকৃত জেলে, তারা জানে—মাছ থাকলেই জীবন বাঁচবে। তাই সত্যিকারের জেলে কখনোই অবৈধ কাজ করতে পারে না।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...