বিজ্ঞাপন
সোমবার (২০ অক্টোবর) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার প্রচারিত ব্লুমবার্গ পডকাস্ট–এর এক সাক্ষাৎকারে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রায়ের প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল এবং নেতানিয়াহু কানাডায় প্রবেশ করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
‘নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না?’—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কার্নি সংক্ষিপ্তভাবে বলেন, “হ্যাঁ।” তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়াটা আমার সরকারের অগ্রাধিকার ছিল। কিন্তু এটিই শেষ নয়। ইসরায়েলের পাশে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রেখে স্বাধীনভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র টিকে থাকবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ১৯৪৭ সাল থেকে কানাডা দুই রাষ্ট্র সমাধানের নীতি মেনে চলছে। কিন্তু নেতানিয়াহুর সরকার জাতিসংঘের নীতিমালা উপেক্ষা করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সম্ভাবনা নস্যাৎ করছে, যা কানাডার ঐতিহাসিক নীতির পরিপন্থী।
কার্নির এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ওফির ফাল্ক কানাডীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, “কানাডা যেহেতু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০ দফা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, তাই মার্ক কার্নির উচিত বিশ্বের একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশে স্বাগত জানানো।”
উল্লেখ্য, গত দুই বছরে ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলায় গাজা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে ৬৮ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এই মানবিক বিপর্যয়ের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
কানাডার আগে বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন, স্লোভেনিয়া ও সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপের একাধিক দেশ ইতোমধ্যে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...